বন্ধুরা, ইটারনাল রিটার্ন খেলছো তো? আজকাল তো পুরো মার্কেট গরম করে রেখেছে এই গেমটা! তবে শুধু মজা পেলেই তো হবে না, টিকে থাকার কৌশলগুলোকেও জানতে হবে, তাই না?

আমরা সবাই জানি, এই গেমে টিকে থাকতে হলে শুধু ফাইট করলেই হবে না, বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হবে। কিন্তু একটা ব্যাপার কি তোমরা খেয়াল করেছো? ইটারনাল রিটার্নে শুধু কিছু টিপস ফলো করলেই চলে না, বরং তোমার খেলার স্টাইল আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কৌশলগুলো কতটা আলাদা হতে পারে!
আমি নিজে যখন প্রতিদিন গেমটা খেলি, তখন একটা জিনিস খুব ভালো করে বুঝি যে, একেক প্লেয়ারের জন্য সার্ভাইভাল টেকনিক একেক রকম। আজকের মেটা-তে, কোন ক্যারেক্টার নিয়ে কিভাবে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া যায়, বা হঠাত্ করে যখন জোনে আটকে যাও, তখন কোন বুদ্ধিটা সবচেয়ে কাজে দেবে – এই সব ছোট ছোট ব্যাপারই কিন্তু তোমার জয়-পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে দেয়। শুধু পুরনো স্ট্র্যাটেজি আঁকড়ে ধরে থাকলে হবে না, প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে হবে আর নিজের মতো করে সেগুলোকে আপগ্রেড করতে হবে। তাহলেই দেখবে, অন্য সবার থেকে তুমি একধাপ এগিয়ে থাকবে!
এই পার্থক্যগুলোই তোমাকে সত্যিকারের প্রো প্লেয়ার করে তোলে। নিচে এই আকর্ষণীয় এবং কার্যকরী পার্থক্যগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। নিশ্চিত করে সব জানতে পারবেন!
তবে শুধু মজা পেলেই তো হবে না, টিকে থাকার কৌশলগুলোকে জানতে হবে, তাই না?
লুমিয়া দ্বীপে আপনার রুট ম্যাপ: বুদ্ধি করে পথ চলুন
ইটারনাল রিটার্নে জেতার জন্য প্রথম যে জিনিসটা মাথায় রাখা দরকার, তা হলো আপনার রুট প্ল্যান। ম্যাচের শুরুতেই এটা ঠিক করে নেওয়াটা ভীষণ জরুরি। আমি যখন প্রথম খেলা শুরু করেছিলাম, তখন যেদিকে মন চাইতো সেদিকেই ছুটতাম, আর ফল কী হতো?
মাঝপথে আইটেম পেতাম না, অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে পড়তাম। এখন বুঝেছি, নিজের ক্যারেক্টার এবং তার আইটেম বিল্ডের উপর ভিত্তি করে একটা নির্দিষ্ট রুট তৈরি করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। হলুদ ত্রিভুজ চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত জিনিসগুলো আপনার বিল্ডের জন্য প্রয়োজনীয়, এগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু রুট ফলো করলেই হবে না, আশপাশের পরিস্থিতি বুঝে রুট বদলানোর মতো নমনীয়তাও থাকতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে অনেক প্লেয়ার নেমেছে, তখন বুদ্ধিমানের কাজ হলো অন্য রুট ধরে অন্যদিকে যাওয়া।
পারফেক্ট রুট কীভাবে বানাবেন?
রুট বানানোর সময় প্রথমেই নিজের ক্যারেক্টারের চূড়ান্ত আইটেম বিল্ডটা মাথায় রাখুন। কোন এলাকায় কোন আইটেমগুলো সহজে পাওয়া যায়, তা জেনে রাখাটা খুব জরুরি। যেমন, কিছু ক্যারেক্টার প্রথম দিকেই অস্ত্রের জন্য নির্দিষ্ট কিছু উপাদান পেতে চায়। এর জন্য আপনি বিভিন্ন গাইড বা অন্য অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের রুট ব্যবহার করতে পারেন। আমি দেখেছি, অনেক সময় একটা ভালো রুট আপনাকে শুধু দ্রুত আইটেম সংগ্রহেই সাহায্য করে না, বরং প্রতিপক্ষকে এড়িয়ে গিয়ে নিরাপদে শক্তিশালী হতেও সাহায্য করে। নিজের রুট বারবার প্র্যাকটিস করে সেটাকে আরও মসৃণ করে তুলতে হবে। প্রথম দিনেই সব পারফেক্ট হবে না, কিন্তু লেগে থাকলে ঠিকই পারবে।
রুট প্ল্যানিংয়ে সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন
অনেক নতুন প্লেয়ারই রুট প্ল্যানিংয়ের সময় ভুল করে। সবচেয়ে বড় ভুলটা হলো, রুট মুখস্থ করে ফেলা, কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে সেটাকে পরিবর্তন না করা। ধরো, তোমার রুটে এমন একটা জায়গা আছে যেখানে সবসময়ই মারামারি হয়, কিন্তু তোমার ক্যারেক্টার শুরুর দিকে মারামারির জন্য অতটা শক্তিশালী নয়। সে ক্ষেত্রে সেই জায়গাটা এড়িয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া, প্রয়োজনীয় আইটেমগুলো পাওয়ার জন্য কোন এলাকার ক্রेटগুলোতে আগে হাত দিতে হবে, সেটা জানাটাও জরুরি। আমি নিজে এই ভুলগুলো করে অনেক গেম হেরেছি, তাই তোমাদের বলি, সতর্ক থেকো।
আইটেম ক্রাফটিং: টিকে থাকার প্রথম ধাপ
ইটারনাল রিটার্নে আপনার টিকে থাকার প্রধান চাবিকাঠি হলো দ্রুত আইটেম তৈরি করা। আমি যখন প্রথম খেলতাম, তখন মারামারি করতে খুব পছন্দ করতাম, কিন্তু দেখতাম ভালো আইটেম না থাকায় বারবার হেরে যাচ্ছিলাম। এখন বুঝেছি, শুরুর দিকের ফাইটগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নিজের বিল্ড সম্পূর্ণ করা উচিত। বিল্ড শেষ করতে পারলে আপনার ক্যারেক্টার অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং প্রতিপক্ষের উপর একটা বিশাল সুবিধা পায়। একবার নিজের Epic এবং Legendary আইটেমগুলো তৈরি হয়ে গেলে, তখন আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে লড়তে পারবেন।
দ্রুত আইটেম তৈরির গোপন কৌশল
দ্রুত ক্রাফটিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আপনার রুট প্ল্যানের সাথে থাকা হলুদ ত্রিভুজ চিহ্নিত আইটেমগুলোতে মনোযোগ দেওয়া। এই আইটেমগুলো আপনার বিল্ডের জন্য অত্যাবশ্যক। এছাড়া, ক্যাম্পফায়ার ব্যবহার করে খাবার এবং পানীয় তৈরি করলে প্রচুর হেলথ এবং স্ট্যামিনা রিকভারি পাওয়া যায়, যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে সাহায্য করবে। আমি নিজে সবসময় চেষ্টা করি অন্তত কিছু বেসিক খাবার আর পানীয় প্রথম রাউন্ডেই তৈরি করে নিতে। এটা ছোট একটা জিনিস মনে হতে পারে, কিন্তু বিপদের সময় জীবন বাঁচিয়ে দেয়!
ক্রেডিট ও কিয়স্কের সঠিক ব্যবহার
অনেক সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইটেম পেতে সমস্যা হয়, অথবা নির্দিষ্ট এলাকার সব ক্র্যাট থেকে জিনিসপত্র শেষ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেডিট ব্যবহার করে কিয়স্ক থেকে প্রয়োজনীয় রেয়ার ম্যাটেরিয়াল কেনাটা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। আমি একবার একটা খেলায় ক্র্যাফট করতে গিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাইনি, শেষমেশ ক্রেডিট দিয়ে কিনেছিলাম, আর সেটা আমাকে গেম জিততে সাহায্য করেছিল। এটা সবসময় সেরা অপশন না হতে পারে, তবে যখন দরকার, তখন ক্রেডিট ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না।
টিমওয়ার্ক ও পজিশনিং: একসাথে লড়লে জয় নিশ্চিত!
সলো মোড বাদে ইটারনাল রিটার্নে টিম প্লে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি স্কোয়াড খেললে সবসময় দেখি, যেসব দল একসাথে থাকে, তারাই বেশি সফল হয়। Day 2 থেকেই কিন্তু ম্যাপে অবজেক্টিভস আসা শুরু করে, যেমন মেটিওর বা ট্রেস। এই সময়টাতেই একসাথে থাকাটা সবচেয়ে জরুরি। যদি তুমি একা একা ঘোরাঘুরি করো, তাহলে প্রতিপক্ষের হাতে সহজেই মারা পড়তে পারো। আর Day 3-এর পর যদি মারা যাও, তাহলে তোমার টিমের জন্য সেটা একটা বড় ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায়।
সঠিক পজিশনিংয়ের গুরুত্ব
টিম ফাইটের সময় পজিশনিং খুবই জরুরি। বিশেষ করে যদি তোমার ক্যারেক্টার রেঞ্জড বা সাপোর্টিভ হয়, তাহলে পিছন থেকে ড্যামেজ দেওয়া বা টিমমেটদের বাঁচানোর চেষ্টা করা উচিত। আর যদি তুমি ট্যাঙ্ক বা ব্রুইজার খেলো, তাহলে সামনে থেকে ইনগেজ করা বা ড্যামেজ সোক করার দায়িত্বটা তোমার। আমি যখন Estelle বা Eleven খেলি, তখন চেষ্টা করি সামনের সারিতে থেকে টিমমেটদের জন্য পথ করে দিতে। আবার Hart বা Rio খেললে পিছন থেকে ড্যামেজ আউটপুট দেওয়ার দিকে নজর রাখি।
টিম কম্বিনেশন এবং রোল বোঝা
প্রতিটা টিমের একটা সুনির্দিষ্ট কম্বিনেশন থাকে। কিছু টিম ফাইট শুরু করতে দক্ষ, কিছু টিম ড্যামেজ দিতে পারদর্শী, আবার কিছু টিম দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারে। নিজের ক্যারেক্টারের রোল এবং টিমের বাকি ক্যারেক্টারগুলোর সাথে তার সিনার্জি বোঝাটা খুব দরকারি। ধরুন, আপনার টিমে একজন শক্তিশালী ডাইভার আছে, তাহলে আপনি হয়তো একজন সাপোর্ট হিসেবে তাকে বাঁচানোর দিকে বেশি মনোযোগ দেবেন। আমি যখন একটা নতুন টিমের সাথে খেলি, তখন সবার ক্যারেক্টার দেখে একটা ধারণা করে নিই কে কী করতে পারে। এতে করে টিমের মধ্যে একটা ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়, আর ফাইট জেতা অনেক সহজ হয়ে যায়।
কম্ব্যাট ও ডিসএনগেজ: কখন লড়বেন, কখন পালাবেন?
ইটারনাল রিটার্নে শুধু ভালোভাবে লড়লেই হবে না, কখন লড়তে হবে আর কখন পালাতে হবে, সেটা জানাও অত্যন্ত জরুরি। আমি দেখেছি, অনেক প্লেয়ার হঠাত্ করে একটা ফাইট শুরু করে দেয়, যখন কিনা তাদের টিমমেটরা প্রস্তুত থাকে না বা আইটেম বিল্ড সম্পূর্ণ হয়নি। এটা অনেক বড় একটা ভুল!
মনে রাখবেন, প্রতিটা ফাইটে ঢোকার আগে পরিস্থিতিটা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে।
সফল কমব্যাটের মূলমন্ত্র
কমব্যাটের আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন:
* টিমের শক্তি পরীক্ষা:
আপনার এবং আপনার টিমমেটদের বর্তমান আইটেম, হেলথ, এবং স্ট্যামিনা লেভেল কেমন আছে? *
প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ:
প্রতিপক্ষ টিমের ক্যারেক্টারগুলো কী কী? তাদের আইটেম বিল্ড কেমন? তাদের শক্তি ও দুর্বলতা কোথায়?
*
অবজেক্টিভের অবস্থান:
আশেপাশে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবজেক্টিভ আছে কি না, যা এই ফাইটের ফলাফলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে? *
জোন কন্ট্রোল:
আপনি কি এমন একটা পজিশনে আছেন যেখানে আপনার সুবিধা বেশি? আমি যখন একটি ফাইট শুরু করি, তখন এই বিষয়গুলো মুহূর্তের মধ্যে বিচার করার চেষ্টা করি। যদি দেখি আমাদের সুবিধা বেশি, তাহলে পুরো শক্তি দিয়ে লড়ি। কিন্তু যদি পরিস্থিতি অনুকূল না থাকে, তাহলে অযথা রিস্ক নিই না।
বুদ্ধিমানের মতো ডিসএনগেজ করা
অনেক সময় ফাইট শুরু হয়ে গেলে মনে হয়, “উফফ, এটা তো ভুল ফাইট!” তখন ভয় না পেয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে ডিসএনগেজ করার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে যদি আপনার টিমমেটরা মারা গিয়ে থাকে এবং আপনি একা বেঁচে থাকেন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব জোন থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কিছু ক্যারেক্টারের ডিসএনগেজ করার জন্য বিশেষ স্কিল থাকে, সেগুলো কাজে লাগান। ডিসএনগেজ করে বেঁচে থাকলে আপনার টিমমেটদের ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকে, এবং গেমটা পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে যায় না। মনে রাখবেন, সব ফাইট জেতার জন্য লড়তে হয় না, কিছু ফাইট শুধু টিকে থাকার জন্য হয়।
ম্যাপের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো: অবজেক্টিভ ম্যানেজমেন্ট
ইটারনাল রিটার্নে শুধু প্লেয়ারদের মারামারি করে জিততে হয় না, ম্যাপে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন অবজেক্টিভগুলোও নিয়ন্ত্রণ করা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন প্রথম খেলতাম, তখন অবজেক্টিভগুলোর গুরুত্ব অতটা বুঝতাম না, ভাবতাম শুধু কিল করলেই বুঝি জেতা যাবে। কিন্তু পরে বুঝেছি, মেটিওর, আলফা, ওমেগা, এবং উইকলিন (Wickline) – এগুলো গেমের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ অবজেক্টিভগুলো কীভাবে কাজে লাগাবেন?
* মেটিওর (Meteorite): Day 2 থেকে মেটিওর পড়া শুরু হয়। মেটিওর থেকে Mythril পাওয়া যায়, যা দিয়ে শক্তিশালী লেজেন্ডারি আইটেম তৈরি করা যায়। টিমমেটদের সাথে নিয়ে মেটিওর কনটেস্ট করাটা জরুরি।
* আলফা (Alpha) ও ওমেগা (Omega): আলফা Day 2-এর রাতে আসে এবং Mythril দেয়, আর ওমেগা Day 3-এর রাতে আসে ও Force Core দেয়। এই রেয়ার ম্যাটেরিয়ালগুলো আপনার টিমের শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
* ডক্টর উইকলিন (Doctor Wickline): এই বসকে মারলে VF Blood পাওয়া যায় এবং একটি শক্তিশালী বাফ (buff) পাওয়া যায়, যা শেষ ফাইটগুলোর জন্য অপরিহার্য। সাধারণত, Day 5-এর রাতে উইকলিন স্পন হয়।আমি নিজে সবসময় চেষ্টা করি টিমমেটদের সাথে কোঅর্ডিনেট করে অবজেক্টিভগুলো নিতে। কারণ, এসব অবজেক্টিভ আপনার টিমকে শুধু আইটেমই দেয় না, বরং এক্সপেরিয়েন্স এবং ক্রেডিটও এনে দেয়, যা আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখে।
ব্যাটেল জোন (Battle Zone) ও সেফ জোন (Safe Zone) এর ব্যবহার

Day 2-এর রাত থেকে ব্যাটেল জোনগুলো ম্যাপে দেখা যায়। এই জোনগুলোতে সাধারণত বেশি ফাইট হয় এবং এখানে টিকে থাকতে পারলে মূল্যবান রেওয়ার্ড পাওয়া যায়। আবার গেমের শেষ দিকে সেফ জোনগুলো ছোট হতে শুরু করে, যা প্লেয়ারদেরকে একে অপরের কাছাকাছি আসতে বাধ্য করে। এই সেফ জোনগুলোতে পজিশনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে আছে, একবার একটা গেমে আমি উইকলিন মারার পর সেফ জোনে দারুণ পজিশনিং করে শেষ ফাইট জিতেছিলাম।
মেটা বিশ্লেষণ: সময়ের সাথে কৌশল বদলান
ইটারনাল রিটার্নের মেটা (Meta) বা খেলার ধরন সময়ের সাথে সাথে বদলাতে থাকে। কোনো একটা প্যাচে একটা ক্যারেক্টার খুব শক্তিশালী থাকতে পারে, আবার পরের প্যাচেই তার শক্তি কমে যেতে পারে। আমি দেখেছি, যারা সবসময় মেটা ফলো করে এবং নিজের কৌশল বদলাতে পারে, তারাই র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে উঠতে পারে। শুধু একটা ক্যারেক্টার বা একটা বিল্ড নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না, নমনীয় হতে হবে।
বর্তমান মেটার ট্রেন্ড
বর্তমান মেটা বেশ ডাইনামিক। কিছুদিন আগে পর্যন্ত, রেঞ্জড ক্যারেক্টাররা, বিশেষ করে স্কিল অ্যাম্প (Skill Amp) বিল্ডের ক্যারেক্টাররা বেশ শক্তিশালী ছিল। যেমন, Ava-এর মতো ক্যারেক্টাররা দারুণ পারফর্ম করছে। আবার কিছু ট্যাঙ্ক বা ব্রুইজার ক্যারেক্টার, যেমন Eleven বা Estelle, তাদের ডিফেন্সিভ ক্ষমতা এবং টিমফাইটে তাদের উপযোগিতার জন্য এখনও বেশ জনপ্রিয়।
| ক্যারেক্টার টাইপ | বৈশিষ্ট্য | বর্তমান মেটায় উপযোগিতা |
|---|---|---|
| রেঞ্জড ডিডিএস (DPS) | দূর থেকে ড্যামেজ দিতে পারে, পজিশনিং জরুরি | স্কিল অ্যাম্প বিল্ডে শক্তিশালী, নিরাপদ ড্যামেজ |
| ট্যাঙ্ক/ব্রুইজার | উচ্চ ডিফেন্স, CC ক্ষমতা, টিমমেটদের রক্ষা | ফাইট শুরু করা ও টিমমেটদের বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য |
| সাপোর্ট | হিল, বাফ, CC দিয়ে টিমমেটদের সাহায্য | টিমের সার্ভাইভাল ও ফাইট জেতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ |
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, মেটা যাই হোক না কেন, নিজের খেলার স্টাইল অনুযায়ী সেরা ক্যারেক্টার বেছে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। যদি তুমি স্কিল শট প্লেয়ার হও, তাহলে Ava বা Zahir তোমার জন্য ভালো হতে পারে। আর যদি তুমি একটু বেশি অ্যাগ্রেসিভ খেলতে চাও, তাহলে Jackie বা Luke ট্রাই করতে পারো।
মেটার পরিবর্তনগুলো কীভাবে বুঝবেন?
প্রতিটা প্যাচ নোটে ক্যারেক্টার এবং আইটেমের যে পরিবর্তনগুলো আসে, সেগুলোর দিকে নজর রাখা খুব জরুরি। আমি সবসময় প্যাচ নোটগুলো খুঁটিয়ে পড়ি, কারণ এতে বোঝা যায় কোন ক্যারেক্টারের শক্তি বাড়ানো হলো আর কার কমানো হলো। এছাড়া, অভিজ্ঞ স্ট্রিমারদের খেলা দেখলে বা তাদের মতামত শুনলেও মেটা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। মনে রাখবে, মেটা শুধু শক্তিশালী ক্যারেক্টার বা আইটেম নিয়ে নয়, বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী সেরা কৌশলটা কী, সেটাও বোঝায়।
ক্যারেক্টার সিলেকশন: আপনার খেলার স্টাইল অনুযায়ী সেরাটা বাছুন
ইটারনাল রিটার্নে এতগুলো ক্যারেক্টার, যে কাকে নিয়ে খেলা শুরু করব, সেটা নিয়েই আমি প্রথমে হিমশিম খেয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝেছি, “সেরা” ক্যারেক্টার বলে কিছু হয় না, আসলে যে ক্যারেক্টারটা তোমার খেলার স্টাইলের সাথে সবচেয়ে ভালো যায়, সেটাই তোমার জন্য সেরা।
নতুনদের জন্য সহজ ক্যারেক্টার
যদি তুমি নতুন প্লেয়ার হও, তাহলে এমন ক্যারেক্টার দিয়ে শুরু করা উচিত যাদের স্কিলগুলো সহজ এবং বুঝতে সুবিধা। যেমন, Jackie একজন দারুণ ডুয়েলিস্ট এবং শুরুর দিকে সহজ প্লেস্টাইলের জন্য পরিচিত। Rio বা Leon-এর মতো ক্যারেক্টাররাও নতুনদের জন্য ভালো। এদের স্কিল সেটগুলো তোমাকে গেমের বেসিক মেকানিক্সগুলো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। আমার এক বন্ধু, যে MOBA গেমের সাথে একেবারেই পরিচিত ছিল না, সে Jackie দিয়ে শুরু করে খুব দ্রুতই গেমের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছিল।
অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের জন্য জটিল ক্যারেক্টার
যারা একটু চ্যালেঞ্জিং কিছু খুঁজছো, তাদের জন্য কিছু ক্যারেক্টার আছে যাদেরকে মাস্টারি করতে পারলে গেমপ্লেটা অন্য মাত্রায় চলে যায়। যেমন, Adela, Alex বা Adena। এদের স্কিল সেটগুলো বেশ জটিল এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে অবিশ্বাস্য সব প্লে তৈরি করা যায়। তবে এদেরকে খেলতে গেলে অনেক প্র্যাকটিস আর গেম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা দরকার। আমার নিজের অ্যালেক্স নিয়ে খেলতে গিয়ে প্রথমদিকে অনেক সমস্যা হয়েছিল, কারণ ওর মাল্টি-ওয়েপন স্টাইলটা খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করা কঠিন। কিন্তু যখন ওর কৌশলগুলো বুঝতে শুরু করলাম, তখন মনে হলো যেন গেমে নতুন একটা দিগন্ত খুলে গেছে।
রোল অনুযায়ী ক্যারেক্টার বাছাই
আপনি কোন রোলে খেলতে পছন্দ করেন, সেটার উপর ভিত্তি করেও ক্যারেক্টার বাছাই করতে পারেন।
* ফ্রন্টলাইন (ট্যাঙ্ক/ব্রুইজার): যদি তুমি ফাইট শুরু করতে বা ড্যামেজ নিতে পছন্দ করো, তাহলে Eleven, Hyunwoo, Magnus, Estelle-এর মতো ক্যারেক্টারগুলো তোমার জন্য।
* ড্যামেজ ডিলার (ক্যারী): দূর থেকে ড্যামেজ দিতে চাইলে Rio, Hart, Ava, Celine-এর মতো রেঞ্জড ক্যারেক্টার বাছো।
* অ্যাসাসিন/ডাইভার: যদি প্রতিপক্ষের দুর্বল ক্যারেক্টারগুলোকে দ্রুত মেরে ফেলতে চাও, তাহলে Luke, Bianca, Yuki-এর মতো ক্যারেক্টার ট্রাই করতে পারো।
* সাপোর্ট: টিমমেটদের হিল, বাফ বা CC দিয়ে সাহায্য করতে চাইলে Johann, Elena, Priya-এর মতো ক্যারেক্টার আছে।নিজের খেলার স্টাইল আর টিমের চাহিদা অনুযায়ী ক্যারেক্টার বেছে নিলে তুমি যেমন খেলাটা উপভোগ করবে, তেমনই তোমার জেতার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে!
글을মাচি며
বন্ধুরা, ইটারনাল রিটার্ন শুধু একটা খেলা নয়, এটা একটা যাত্রা। নিজের মতো করে শেখা, ভুল করা, আর আবারও চেষ্টা করা – এই সবকিছুই এর অংশ। আমি তোমাদের সাথে আমার নিজের অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করে নিতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। আশা করি এই টিপসগুলো তোমাদের লুমিয়া দ্বীপে টিকে থাকতে এবং আরও ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করবে। মনে রাখবে, আসল মজাটা হলো নিজের কৌশল খুঁজে বের করা আর গেমটাকে উপভোগ করা! তাই ঝাঁপিয়ে পড়ো, নতুন কিছু শেখো আর প্রমাণ করো তুমিই সেরা!
알া দুয়াং সুলমু ইয়ে ইইনপর্মেশন
1. বন্ধুরা, ইটারনাল রিটার্নে ভালো পারফর্ম করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করাটা খুবই জরুরি। শুধু একদিন খেলে সবকিছু শিখে ফেলা যায় না। নিজের পছন্দের ক্যারেক্টারগুলো নিয়ে বারবার খেললে তাদের স্কিলগুলো কখন এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা ভালোভাবে বোঝা যায়। বিভিন্ন বিল্ড ট্রাই করে দেখতে পারো, দেখবে একেক বিল্ডের সাথে ক্যারেক্টারের খেলার স্টাইল কেমন পাল্টে যায়। এটা তোমাকে খেলার ভেতরের খুঁটিনাটিগুলো শিখতে সাহায্য করবে, যা একজন ভালো প্লেয়ার হওয়ার জন্য অপরিহার্য। আমি নিজে দেখেছি, শুধু প্র্যাকটিস করেই আমার গেমপ্লে অনেক উন্নত হয়েছে। তাই ধৈর্য ধরে খেলো, ভুল থেকে শেখো আর নিজেকে আরও শাণিত করো!
2. লুমিয়া দ্বীপের প্রতিটি কোণায় কী আছে, কখন কোন অবজেক্টিভ স্পন হয়, এবং কোন এলাকায় আইটেমগুলো সহজে পাওয়া যায় – এই জ্ঞান থাকাটা তোমাকে অন্যদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে। ম্যাপ অ্যাওয়ারনেস শুধু তোমাকে নিরাপদে থাকতে সাহায্য করে না, বরং প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলতেও কাজে আসে। বিশেষ করে যখন জোন ছোট হতে শুরু করে, তখন ম্যাপ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে সঠিক পজিশন নিতে অনেক সুবিধা হয়। আমি যখন প্রথম খেলতাম, তখন ম্যাপ অতটা খেয়াল করতাম না, যার ফলস্বরূপ প্রায়শই অপ্রত্যাশিত বিপদে পড়তাম। কিন্তু এখন বুঝি, ম্যাপ জ্ঞান ছাড়া এই গেমে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব।
3. ইটারনাল রিটার্নের মেটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। নতুন প্যাচে কিছু ক্যারেক্টার বা আইটেমের শক্তি বাড়ানো বা কমানো হতে পারে, যা খেলার ধরনকে পুরো পাল্টে দিতে পারে। তাই প্যাচ নোটগুলো নিয়মিত পড়া এবং অভিজ্ঞ প্লেয়ার বা স্ট্রিমারদের ফলো করাটা খুব জরুরি। যারা মেটা সম্পর্কে সচেতন থাকে এবং নিজের কৌশলকে সময়ের সাথে সাথে মানিয়ে নিতে পারে, তারাই র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে যেতে পারে। একটা নির্দিষ্ট ক্যারেক্টার বা বিল্ডে আটকে না থেকে, নতুন কিছু চেষ্টা করো আর দেখো বর্তমান মেটার সাথে কী সবচেয়ে ভালো কাজ করছে। নমনীয়তা এই খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা তোমাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।
4. টিম প্লে মোডে সফল হওয়ার জন্য সতীর্থদের সাথে যোগাযোগ এবং সমন্বয় অপরিহার্য। কে কোন লেনে যাবে, কোন অবজেক্টিভ কখন নিতে হবে, বা কখন ফাইট শুরু করতে হবে – এই সব বিষয়ে টিমের মধ্যে একটি পরিষ্কার বোঝাপড়া থাকা দরকার। ভয়েস চ্যাট ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো হয়, কারণ এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আমি দেখেছি, যখন টিমের সদস্যরা একে অপরের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করে, তখন তারা কঠিন পরিস্থিতি থেকেও বেরিয়ে আসতে পারে। টিমমেটদের সাহায্য করা এবং তাদের রক্ষা করাটা নিজেদের কিল পাওয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সবশেষে, দলগত প্রচেষ্টাতেই জয় আসে।
5. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো, খেলাটা উপভোগ করা! হ্যাঁ, জেতাটা অবশ্যই আনন্দের, কিন্তু হেরে যাওয়ার ভয়ে যদি খেলার মজাই চলে যায়, তাহলে তো মুশকিল। ইটারনাল রিটার্ন একটি চ্যালেঞ্জিং গেম, যেখানে শেখার অনেক সুযোগ আছে। তাই প্রতিটা খেলাকে একটা শেখার সুযোগ হিসেবে দেখো। নতুন কৌশল চেষ্টা করো, নতুন ক্যারেক্টার দিয়ে খেলো, আর নিজের মতো করে মজাদার মুহূর্ত তৈরি করো। চাপ না নিয়ে খেললে দেখবে তুমি আরও ভালো পারফর্ম করছো। গেমের আনন্দটাকেই আসল লক্ষ্য বানাও, দেখবে জয় আপনাআপনিই আসবে।
গুরুত্বপূর্ণ사항정রি
ইটারনাল রিটার্নে সফল হওয়ার জন্য কয়েকটি মূল বিষয় মাথায় রাখা জরুরি: প্রথমে, একটি সুচিন্তিত রুট প্ল্যান তৈরি করুন এবং দ্রুত আইটেম ক্রাফটিংয়ের দিকে মনোযোগ দিন। দ্বিতীয়ত, টিম প্লে মোডে সতীর্থদের সাথে সমন্বয় এবং সঠিক পজিশনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয়ত, কখন লড়বেন এবং কখন পিছু হটবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিচক্ষণতা রাখুন। চতুর্থত, ম্যাপের গুরুত্বপূর্ণ অবজেক্টিভগুলো নিয়ন্ত্রণ করা এবং বর্তমান মেটা অনুযায়ী নিজের কৌশল পরিবর্তন করা আবশ্যক। পরিশেষে, নিজের খেলার স্টাইল অনুযায়ী ক্যারেক্টার বেছে নিন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, খেলাটা উপভোগ করুন। এই বিষয়গুলো মেনে চললে লুমিয়া দ্বীপে আপনার টিকে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: বর্তমান মেটা অনুযায়ী সেরা ক্যারেক্টারগুলো কী কী, আর কিভাবে আমি আমার পছন্দের ক্যারেক্টার নিয়ে ভালো খেলতে পারি?
উ: দেখো ভাই, ইটারনাল রিটার্নের মেটা ক্যারেক্টারগুলো সবসময় বদলাতে থাকে, এটা তো জানোই। এখনকার সময়ে (অর্থাৎ সাম্প্রতিক প্যাচ অনুযায়ী) কিছু ক্যারেক্টার সত্যিই বেশ শক্তিশালী, যারা গেমের শুরুর দিক থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যাদের আর্লি গেম ক্লিয়ার স্পিড ভালো, কম্ব্যাট পটেনশিয়াল বেশি আর এস্কেপ মেকানিজম আছে, তারা প্রায়োরিটি পায়। যেমন, সম্প্রতি কিছু ব্রুজার এবং রেঞ্জড ডিপিএস ক্যারেক্টার বেশ ভালো পারফর্ম করছে, যারা ফাইট ইনিশিয়েট করতে পারে বা দূর থেকে নিরাপদভাবে ড্যামেজ দিতে পারে। তবে আমি সবসময় বলি, “সবচেয়ে ভালো ক্যারেক্টার সেটাই, যেটা তোমার প্লেস্টাইলের সাথে মানানসই!”
আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, শুধুমাত্র মেটা ফলো করে এমন একটা ক্যারেক্টার বেছে নিলে লাভ নেই, যেটা তুমি খেলতে পারো না। এরচেয়ে বরং, তোমার পছন্দের ক্যারেক্টারটা নিয়ে প্রচুর প্র্যাকটিস করো। তার বিল্ড পাথ, স্কিল কম্বিনেশন, পাওয়ার স্পাইক কখন আসে, সেগুলো ভালো করে বোঝো। ক্যারেক্টার গাইডের জন্য তোমরা ইউটিউব বা কমিউনিটি ফোরামগুলো দেখতে পারো, সেখানে অনেক প্রো প্লেয়ার নিজেদের টিপস শেয়ার করেন। একটা ক্যারেক্টার নিয়ে যখন তুমি ভালোভাবে খেলতে শুরু করবে, তার শক্তি আর দুর্বলতাগুলো তোমার নখদর্পণে চলে আসবে, তখন দেখবে মেটা ক্যারেক্টারদের সাথেও তুমি পাল্লা দিতে পারছো। গেমটা এমনভাবে ডিজাইন করা যে, তুমি যে ক্যারেক্টারই খেলো না কেন, ঠিকভাবে সময় আর ভালোবাসা দিলে সেই ক্যারেক্টার নিয়েও সফল হওয়া সম্ভব। তাই চোখ বন্ধ করে মেটা ক্যারেক্টারের পেছনে না ছুটে, নিজের সেরাটা দাও আর যেটা খেলতে তোমার মজা লাগে, সেটাই খেলো!
প্র: গেমে টিকে থাকার জন্য বা শেষ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য কিছু কার্যকরী “সারভাইভাল টিপস” কী কী?
উ: ইটারনাল রিটার্নে সারভাইভ করাটা একটা আর্ট! আমি নিজে যখন খেলি, তখন কিছু বেসিক জিনিস খুব মনোযোগ দিয়ে ফলো করার চেষ্টা করি। প্রথমেই আসে “ফুড ম্যানেজমেন্ট”। আর্লি গেমে ভালো হিলিং ফুড তৈরি করে রাখাটা খুবই জরুরি। কারণ, ফাইট হোক বা জোন থেকে ড্যামেজ, ফুডই তোমাকে বাঁচাবে। আমি সাধারণত এমন ফুড বানাই যা অন্তত ৬০০ এইচপি হিল করতে পারে। আর হ্যাঁ, শুধু ফুড নয়, “ক্যামেরা আর কনসোল” ব্যবহার করে ভিশন কন্ট্রোল করাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কে কোন দিক থেকে আসছে, জোন কোথায় ছোট হচ্ছে – এই সব তথ্য তোমাকে অনেক এগিয়ে রাখবে।
আমার মনে হয়, আর্লি গেমে নিজের বিল্ডটা দ্রুত শেষ করাটা অনেক বড় ব্যাপার। আমি দেখি অনেক নতুন প্লেয়ার আইটেম বানাতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলে, ফলে তারা পাওয়ার স্পাইকের আগেই দুর্বল হয়ে যায়। আর একটা জিনিস, প্রাণীদের মারতে ভুলো না!
উলফ বা বিয়ারের মতো অ্যানিমেল কিল করলে শুধু এক্সপিই নয়, অনেক রেয়ার ম্যাটেরিয়ালও পাওয়া যায় যা তোমার বিল্ডে সাহায্য করবে। যখন দেখছো অন্য টিমের সাথে ফাইট হচ্ছে, তখন চেষ্টা করো তাদের পিছনে পড়ে থাকা প্লেয়ারদের শেষ করে দিতে, এতে তোমাদের টিম প্রচুর এইচপি রিকভারি পায়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – অযথা মারামারি করতে যেও না। যদি তোমার টিমমেটরা আশেপাশে না থাকে, বা তোমার বিল্ড কমপ্লিট না হয়, তাহলে ফাইট অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করো। টিম হিসেবে খেলা আর ডিসেঙ্গেজ করাটা খুবই জরুরি। সঠিক সময়ে জোন ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় সরে আসাটাও সারভাইভালের একটা অংশ।
প্র: গেমের নতুন আপডেট বা মেটা পরিবর্তনের সাথে কিভাবে মানিয়ে নেব এবং একজন প্রো প্লেয়ারের মতো চিন্তা করব?
উ: সত্যি বলতে, ইটারনাল রিটার্নে প্রো প্লেয়ার হওয়ার প্রথম ধাপই হলো “নিয়মিত শেখা আর মানিয়ে নেওয়া”। গেমটা সব সময় বদলায়। প্যাচ নোটগুলো নিয়মিত ফলো করাটা খুবই জরুরি। কোন ক্যারেক্টারের বাফ বা নের্ফ হয়েছে, কোন আইটেম বদলেছে, নতুন কোন মেকানিজম বা ট্যাকটিক্যাল স্কিল এসেছে – এই সবকিছু সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। আমি নিজে করি কি, যখনই কোনো বড় আপডেট আসে, তখনই কমিউনিটির আলোচনাগুলো দেখি। ইউটিউবে বিভিন্ন প্রো প্লেয়ারদের অ্যানালাইসিস ভিডিওগুলো অনেক সাহায্য করে।
এছাড়া, শুধুমাত্র কিলিং-এর দিকে মনোযোগ না দিয়ে “ম্যাক্রো প্লে” সম্পর্কে জানতে হবে। ম্যাপের বিভিন্ন অবজেক্টিভ যেমন ওয়াইকোলিন (Wickeline) বা ব্যাটলজোন (Battlezones) এর গুরুত্ব বুঝতে হবে। কখন কোন অবজেক্টিভ নিতে হবে, কখন রিস্ক নিতে হবে আর কখন খেলোয়াড়দের সাথে এনগেজ করতে হবে – এই সব সিদ্ধান্তগুলোই একজন প্রো প্লেয়ারকে আলাদা করে তোলে। আমি ব্যক্তিগতভাবে “ট্যাকটিক্যাল স্কিল” ব্যবহার করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকি। প্রতিটি স্কিলের সঠিক ব্যবহার একটা ফাইট ঘুরিয়ে দিতে পারে। আর হ্যাঁ, হারলেও হতাশ হবে না। প্রতিটি হারই একটা শেখার সুযোগ। তোমার ভুলের রিপ্লেগুলো দেখো, কোথায় ভুল করেছো, কী করলে ভালো হতো – এগুলো নিয়ে ভাবো। যত বেশি খেলবে, তত বেশি শিখবে। আর যখন তুমি গেমটাকে ভালোবাসবে, তখন দেখবে এই পরিবর্তনগুলোও তোমার কাছে চ্যালেঞ্জিং মনে হবে, বিরক্তিকর নয়!
এইগুলোই তোমাকে একজন সত্যিকারের দক্ষ প্লেয়ার হিসেবে গড়ে তুলবে।






